বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা কর্তৃক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

0

২৮ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৬ ঘটিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা, স্থানীয় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরাস্থিত সকল ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের প্রধান, ফেডারেল ও স্টেট এর মন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক, পেশাজীবী, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। 

সভাপতিত্ব করেন ক্যানবেরায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাই কমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান আল্লামা সিদ্দিকী ও মিসেস রাস্না ফারুক সিদ্দিকী। 

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যে আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা তার দেশের জন্য অসাধারণ কাজ করছেন। এত অল্প সময়ে একটি স্বল্পোন্নত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। শেখ হাসিনা তার সততা ও কথার মাধ্যমে তা করে দেখিয়েছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার রূপকল্প স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সবার অংশগ্রহনের আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন চান্সেরি প্রধান তাহলীল দিলওয়ার মুন। তিনি তার বক্তব্যে প্রতিটি বৈশ্বিক সূচকে, বিশেষ করে দারিদ্র দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, আবাহাওয়া পরিবর্তন, শিশু মৃত্যুরোধে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, দেশজ উৎপাদন, রপ্তানি আয়, বিদেশি রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের উন্নয়নের উপর দুটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। 

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার ফর ডিফেন্স ও এসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার ফর ভ্যাটার্ন এফেয়ার্স সম্মানিত ম্যাট থিসেল্থ্ওয়েইট, ডেপুটি অপোজিসন লিডার রিচার্ড মার্লেস, চীফ স্টাফ প্রোটোকল মিঃ ইয়ান ম্যাককনভিল্, ফেডারেল মেম্বার ফর প্যারাম্যাটা মিঃ এন্ড্রু চার্লটন প্রমুখ। 

ম্যাট থিসেল্থ্ওয়েইট তার বক্তব্যের শুরুতেই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ভাষণে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে তার স্বাধীনতামন্ত্রে সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বহির্বিশ্বে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি শ্রদ্ধাভরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিঃ গফ্ হুইটলামের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি ঐ সময়কার বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান মান্যবর ডেপুটি হাই কমিশনার মিঃ জিম এলেন এর অবদানের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। 

এরপর স্থানীয় শিশু কিশোরেরা দেশের গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে। আগত অতিথিদের সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here