বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক

0
বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক

২০২২ সালে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিলক ভার্মা। সেই সফরে ম্যাচ খেলাকালে শারীরিক সমস্যায় পড়েন এই ভারতীয় ব্যাটার। আঙুল নাড়াতে পারছিলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।

এরপর অবশ্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিক আকাশ আম্বানি ও বিসিসিআইয়ের তৎকালীন সচিব জয় শাহ দ্রুত তিলকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ভারতীয় এই ব্যাটার জানিয়েছেন, তার শরীরে বিরল র‌্যাবডোমায়োলাইসিস রোগের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। উন্নত চিকিৎসার পর তার শরীর এখন পুরোপুরি সুস্থ।

সম্প্রতি ভারতীয় সঞ্চালক গৌরব কাপুরের ইউটিউব শো ‘ব্রেকফাস্ট অব চ্যাম্পিয়ন্সে’ হাজির হয়েছিলেন তিলক। সেখানেই ক্যারিয়ারের এই অপ্রকাশিত অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন তিনি। জয় শাহ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন তিলক।

তিনি বলেন, এর আগে এই কথা আমি কাউকে বলিনি। আইপিএলে নিজের প্রথম মৌসুমের পর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ি। ফিট থাকতে চেয়েছি। কিন্তু আমার র‌্যাবডোমায়োলাইসিস ধরা পড়ে, যেটাতে পেশি ভেঙে যায়। তখন ঘরোয়ায় খেলে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্য ছিল।

২০২৩ সালে তারকাবহুল দল নিয়ে বাংলাদেশে আসে ভারতীয় ‘এ’ দল। সফরে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছিল ভারত। এর মধ্যে প্রথম চারদিনের ম্যাচে ১০০ বলে ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছড়েন তিলক। কক্সবাজারে হওয়া সেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। এই ম্যাচের পরই দ্রুত চিকিৎসা করাতে হয় তিলককে।

বাংলাদেশ সফরের কথা বলতে গিয়ে তিলক বলেন, ‘সেঞ্চুরি করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎই আমার চোখে পানি আসতে শুরু করে এবং আঙুল নাড়াতে পারছিলাম না। ব্যাটও তুলতে পারছিলাম না। সবকিছু পাথরের মতো নিশ্চল মনে হচ্ছিল। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে চলে আসতে হয় এবং আঙুল নড়াচড়া করাতে না পারায় গ্লাভস কাটতে হয়েছিল।’

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও জয় শাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও জয় শাহকে ধন্যবাদ। আমাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন আর কয়েক ঘণ্টা দেরি করলেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। ইনজেকশন দেওয়ার সময় সুঁচ ভেঙে গিয়েছিল। খুব বাজে অবস্থা হয়েছিল সে সময়। মা ছিলেন আমার সঙ্গে।’

সাধারণত র‍্যাবডোমায়োলাইসিসের কারনে পেশির টিস্যু দ্রুত ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর উপাদান রক্তে মিশে যায়। এর ফলে কিডনিরও ক্ষতি হতে পারে। মূলত অতিরিক্ত পরিশ্রম, পানিশূন্যতা ও অতিরিক্ত গরমের কারণে এমন সমস্যায় পড়তে পারেন যে কেউ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here