বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না : জিএম কাদের

0

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের কথা বলেছে। প্রতিটি ধর্মই মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ণের কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য লালন করছে। সকল ধর্মের মানুষ যেন আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁধা। দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের শেখাতে হয় না।

শনিবার দুপুরে দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির চত্বরে স্বামী শ্রী অধোক্ষানন্দ দেবতীর্থ মহারাজ এর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী সকল দেশের সাথেই জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। ভারতের সাথে আমাদের যেমন সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি আমাদের সাথেও ভারতের সম্পর্ক রাখা জরুরি। ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের সাথে ভারতে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কারণ ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বাংলাদেশকে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে। ভারতে ন্যায্য দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে কেউ যেন ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। পরস্পরের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত শক্তিশালী সম্পর্ক। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। এমন সম্পর্কে পরস্পর এক সাথে এগিয়ে চলা সহজ হয়। ভারতের প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেব আবার আমাদের প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে এটাই দুটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা। এ কারণেই ভারতে যে সরকারই আসে তারাই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। 

তিনি বলেন, আমরা পরস্পরের ভাই হিসেবে থাকবো, একে অন্যের বিপদে পাশে থাকবো। বাংলাদেশ ও ভারত একইসাথে সার্বিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। 

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে জাতীয় পার্টি। 

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুভ জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। জন্মাষ্টমীর র‌্যালি বের করতে সকল সহায়তা করেছেন। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া পূজা-পার্বণে জাতীয় পার্টি সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে থাকে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অক্ষয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার শ্রী রাম প্রসাদ পাল।

এডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে। বক্তৃতা করেন সত্যম রায় চৌধুরী, এসকে বাদল, তরুন চক্রবর্তী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here