বাংলাদেশ-তুর্কি পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন মেহমেত আকিফ ইলমাজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তারা।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-তুর্কি পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন মেহমেত আকিফ ইলমাজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদল সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তুরস্ক বাংলাদেশকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি হিসেবে বিবেচনা করে এবং পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রে অব্যাহত সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক চাহিদা পূরণে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তুর্কি প্রতিনিধিদল ১ ও ২ নভেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে এবং সেখানে তুরস্ক পরিচালিত মানবিক কর্মসূচি পর্যালোচনা করে।
বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ ও তুরস্কের ঐতিহাসিক ও দৃঢ় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বহুমাত্রিক খাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও গভীর করার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ ও আধা-দক্ষ পেশাজীবী নিয়োগ শুরু করবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশে ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউটের একটি শাখা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও মজবুত করবে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তুর্কি পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন মেহমেত আকিফ ইলমাজ শিবিরগুলোর ব্যবস্থাপনা ও মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক বাংলাদেশকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি হিসেবে দেখে এবং পারস্পরিক স্বার্থের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

