বাংলাদেশের পাট গবেষণায় আগ্রহ চীনের

0

সফররত চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন্তাও বলেছেন, তার দেশ কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস্য ও গবেষণার উপর বিশেষ নজর রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাট খুবই উপযুক্ত পণ্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ ঢাকায় চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে চীনা ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী চীনা মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে সাথে আসা চীনা কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আরও আত্মবিশ্বাসী। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভোগবাদের কথা উল্লেখ করে চীনা মন্ত্রী বলেন, রাত ১০ টার পরেও বাংলাদেশি মলে ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখে তিনি মুগ্ধ এবং এটা ইঙ্গিত দেয় যে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে। বাংলাদেশের পাটের প্রশংসা করে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্য বৈচিত্রের মাধ্যমে এটি বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর চীনা পাট ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য নিয়ে কিছু গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একত্রিত হন। যদি বাংলাদেশ গবেষণা কাজে যোগ দেয়, তাহলে পাট আমাদের জন্য খুবই উপযুক্ত পণ্য হবে বলে মন্তব্য করেন ওয়েন্তাও।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে, বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে, মৎস্যক্ষেত্রে অনাবিষ্কৃত বিশাল সুযোগ রয়েছে। চীনা স্পর্শের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে একটি উৎপাদন ইউনিটে রূপান্তর করা যেতে পারে।
ওয়াং ওয়েন্তাও বলেন, চীন গভীর জলের সামুদ্রিক মৎস্য চাষে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মৎস্য ও সামুদ্রিক অর্থনীতিতে চীনা দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা চান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here