বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রম কার্যক্রম: পুষ্টির চাহিদা মিটছে, বাড়ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দূর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৩ বছর ধরে খাবার দিয়ে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। এতে করে বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ৩০৯ জন শিক্ষার্থী এক বেলা করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিশুদের পুষ্টির চাহিদা মিটছে, বাড়ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও।

সরেজমিন বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ক্লাসরুমে বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করছে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ভরপুর। ক্লাস চলাকালীন বিরতির সময়ে বেলা ১১টার দিকে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করছে। দুপুর ১২টা থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাবার আবার দুপুর দুইটার দিকে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। খাবার পেয়ে তারা অনেক খুশি।

চতুর্থ শ্রেণির মরিয়ম আক্তার জানায়, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদের বিদ্যালয়ে একেক দিন একেকরকম খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডিম, রুটি, কলা, বিস্কুট, সিঙ্গারা ও ফল রয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, গ্রামীণ পর্যায়ে একটি প্রাইমারি স্কুলে নিয়মিত টিফিন দেওয়াতে আমরা অভিভাবকরা অনেক খুশি। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়াতে একদিকে যেমন তাদের শারীরিক উপকারে আসছে তেমনি বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। অনেক সময় খাবার বানিয়ে না দিতে পারলে দুশ্চিন্তায় থাকতাম বাচ্চাটি খাবার খেল কি না। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়মিত খাবার দেওয়ার কারণে আমাদের আর শিশুদের খাবার নিয়ে ভাবতে হয় না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে আমাদের স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রতিদিনই টিফিন দিচ্ছে। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। পাশাপাশি লেখাপড়ার মানও ভালো হচ্ছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপ ও চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।

বাঞ্ছারপুর বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম মো. মাইমুন কবির বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে দূর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিফিন দিয়ে আসছি। সপ্তাহে দুই দিন ডিম ও সিঙ্গারা, বাকি দুই দিন কলা, রুটি ও একদিন বিস্কুট, ফল দিয়ে আসছি। আমাদের প্রত্যোকটা খাবারই মানসম্মত। অনেক সময় অভিভাবকরা টিফিন দিতে পারেন না। আমাদের টিফিন দেওয়ার কারণে তারা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে। টিফিনের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here