মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও বরিশাল জেলার সিমান্তবর্তী মুলাদী উপজেলার বাটামারা এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার মুলাদীর সীমান্তবর্তী বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নের বিরাজমান বিরোধ নিরসনে দুই পক্ষ নিয়ে এই সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করে তিন জেলা পুলিশ।
শনিবার বিকেলে মুলাদীর বাটামারা ইউনিয়নের জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুল আলম।
মুলাদী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মুলাদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.বদিউজ্জামান, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ ও মুলাদী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর হোসেন সুমন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক। ২০০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুলাদী থানার বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নের হত্যা, ডাকাতি, নারী ও শিশু, অপহরণসহ ৯৩৪টি মামলা দায়ের হয়। এতে ৪ হাজার ৪৩৯ জনকে আসামি করা হয়।
সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে ৫ জন করে ১০ জন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেখানে দুই পক্ষের ১৫ জন করে ৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় পক্ষকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাত মিলিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নের সঙ্গে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত ব্যবহার করে অপরাধীরা সহজেই আত্মগোপনে চলে যায়।
এর আগে বিকেল ৩টায় বরিশাল, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের সীমান্ত বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।