বরিশাল বিভাগে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবারও ভোলা এবং বরিশালের ৩টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোলার তজুমুদ্দিনে সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার এই দুই নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছিল বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার (২.৫০ মিটার) ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। গত বুধবার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার (২.৫০ মিটার) ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
ভোলার দৌলতখানে গত বুধবার সুমরা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৭৫ মিটার) ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি আরও বেড়ে আজ প্রবাহিত হয়েছে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পিরোজপুরের উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বিষখালী নদীর পানি যথাক্রমে পাথরঘাটায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিচার নিচ দিয়ে, ঝালকাঠীতে ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বেতাগীতে ১৮ সেন্টিমিটার ও বরগুনা পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।