সোমবার রাত ৯টায় সৌদি প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের ফ্লাইট। বড় ভাই সাদ্দামকে বিমানে তুলে দিতে এগারসিন্দুর গোধুলী ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ছোট ভাই আফজাল হোসেন (২৪)। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আফজাল। গুরুতর আহত হয়েছেন বড় ভাই সাদ্দাম।
সোমবার বিকেলে ভৈরবের জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর ট্রেনকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং আহত হয় অর্ধশতাধিক।
স্থানীয় এলাকাবাসী সৌরভ অপু জানান, আফজালরা চার ভাই। বড় ভাই সাদ্দাম ও তার আরেক ছোট ভাই আরিফ সৌদিতে থাকেন। সাদ্দাম কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে সোমবার এগারসিন্দুর ট্রেনে সৌদির উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর যাচ্ছিলেন। রাত ৯ টায় তার ফ্লাইট ছিল। বড় ভাইকে বিদায় দিতে গিয়েছিলেন আফজাল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
তিনি আরও জানান, আফজালের বাবা কৃষক আবদুল মান্নান ও তার প্রবাসী ভাইদের স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষে সে সরকারি চাকরি করবে। তার পড়াশোনায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য প্রবাসী ভাইয়েরা নিয়মিত টাকা-পয়সা দিতেন।
এখন এমন একটা অবস্থায় আফজাল যাকে বিদায় দিতে গিয়েছিল, সেও মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। বড় ভাইয়েরও বিদেশ যাওয়া হলো না, আর ছোট ভাইটাও চলে গেল পরপারে। এ অবস্থায় তাদের পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।