শুভ বড়দিন। খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আর এ উৎসব ঘিরে পাহাড়ে বইছে আনন্দ আমেজ। পার্বত্যাঞ্চলের ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ভুক্ত বম, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যারা এ উৎসব পালন করে থাকে।
আগামীকাল সোমবার বড়দিন অর্থাৎ যিশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে রাঙামাটির গীর্জাগুলোতে। শুধু রাঙামাটি জেলা সদর নয়, এ উৎসবে মেতেছে উপজেলার খ্রীষ্টান পল্লীগুলো। গ্রামগুলোকে সাজানো হয়েছে লাল নীল বর্ণাঢ্য সাজে। বিশেষ করে ক্রিসমাস ট্রি ও রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত কাগজে সাজানো হয়েছে যিশুর খ্রীষ্টের গোশালা। গীর্জাগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার। এ যেনো বড়দিন উৎসবের রঙ লেগেছে পাহাড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার বিভিন্ন খ্রীষ্টান পল্লীতে এ উৎসব পালন করা হয় নানা আয়োজনে। তার মধ্যে বিলাইছড়ির, নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি চাকমা খ্রিষ্টান পাড়া ও পুরান পাড়া, রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা, রির্জাভ বাজার, কাপ্তাই উপজেলা, আনন্দ বিহার এলাকা, লুসাই পাহাড়, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উজানছড়ি, বেটলিং, কংলাক, লুইলুই, উল্ডলংকর গির্জাগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে দিনব্যাপী ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়।
অন্যদিকে নির্বচান ও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যাতে আনন্দ উল্লাসে বড় দিন পালন করতে পারে তার জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শান্তিতে বাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এ প্রার্থনা করছি।