শীত মানেই রান্নাঘরে মাখন, ভ্যানিলা আর হুইপ ক্রিমের মিষ্টি গন্ধ। আবার একই সঙ্গে নারকেল কোরা আর গুড় জ্বাল দেওয়ার পরিচিত উষ্ণতা। বড়দিনে কেন একটিমাত্র বেছে নেবেন? কেক আর পিঠা—দু’টিই বানান ঘরে। অল্প উপকরণ আর কম ঝক্কিতে তৈরি করা যায় এমন দুটি রেসিপি রইল এখানে।
কফি ওয়ালনাট কেক
উপকরণ
- দেড় কাপ দুধ
- ৫০ গ্রাম মাখন
- ৬ টেবিল চামচ গুঁড়ো কফি
- আধ কাপ চিনি
- ১ কাপ ময়দা
- ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার
- ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার
- আধ চা-চামচ বেকিং সোডা
- আধ কাপ মিল্ক চকোলেট
- আধ কাপ আখরোটকুচি
প্রণালি
আধ কাপ দুধে ২ টেবিল চামচ কফি মিশিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে মাখন ও চিনি ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এতে কফি মেশানো দুধ যোগ করে আবার ফেটান। অন্য একটি বাটিতে সব শুকনো উপকরণ একসঙ্গে ছেঁকে নিন। এবার ধীরে ধীরে শুকনো উপকরণ ও আখরোটকুচি মাখন–চিনির মিশ্রণে মেশান। প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৪০ মিনিট বেক করুন। কেক ঠান্ডা হলে গলানো মিল্ক চকোলেট ও কফি মিশিয়ে উপর থেকে প্রলেপ দিন। ছাঁকনি দিয়ে অল্প গুঁড়ো কফি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কদম পিঠা
উপকরণ
- ১ কাপ নারকেল কোরা
- আধ কাপ খেজুরের গুড়
- আধ চা-চামচ এলাচগুঁড়ো
- আধ কাপ কাজুবাদামকুচি
- ১ কাপ চালের গুঁড়ো
- ১ চিমটে লবণ
- আধ কাপ বাসমতী চাল
- সামান্য হলুদ ফুড কালার
প্রণালি
বাসমতী চাল ধুয়ে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন, তারপর জল ঝরিয়ে নিন। একটি ননস্টিক প্যানে নারকেল ও গুড় জ্বাল দিন। পুর ঘন হলে এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এক পাত্রে গরম পানিতে চালের গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। হালকা গরম থাকতে থাকতেই মণ্ড ভালো করে মেখে নিন। মণ্ড থেকে ছোট লেচি কেটে মাঝখানে নারকেলের পুর ভরে গোল বল বানান। ভেজানো বাসমতী চালে গড়িয়ে নিন। উপরে এক ফোঁটা ফুড কালার দিন। স্টিমারে ভাপে সেদ্ধ করলেই তৈরি কদম পিঠে।

