পূর্ণিমা ও লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ কুয়াকাটার সৈকতে আছড়ে পড়ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দমকা বাতাসের সাথে থেমে থেমে কখনো ভারী, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
ঢেউয়ের তাণ্ডবে এফবি বিসমিল্লাহ ও মায়ের দেয়া-১ সহ ৭টি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ট্রলারের জেলেদের অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে আড়ৎ ঘাটে নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন, মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার আড়ৎ ঘাটে এসে নোঙ্গর করছে। তীরে আসা জেলেরা জানান, ইলিশ পাবার আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু সাগর উত্তাল। ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে টিকে থাকাই দায়। তাই কেউ জাল না ফেলে আবার কেউ জাল তুলে তীরে এসেছেন।
জেলে হাচন মাঝি বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার করেণে জাল তুলে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল। গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার তীরে আসতে শুরু করেছে। এসব ট্রলার মহিপুর আলীপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া ভাল হওয়ার সাথে সাথে এসব জেলার ট্রলার নিয়ে আবার সাগরে যাত্রা করবেন বলে তিনি জানান।