বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

0

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বাঙালিদের প্রতি স্বাধীনতা নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা।

তিনি বলেন, ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের রয়েছে অসামান্য অবদান। ৭ মার্চের বক্তব্য কি হবে তা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অনেকে পরামর্শ দিলে বঙ্গমাতা বলেছিলেন ‘সমগ্র দেশের মানুষ তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমার মনে যে কথা আসবে সে কথা বলবে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তোমার যে স্বপ্ন সেই কথাগুলো তুমি স্পষ্ট করে বলে দিবে’। আজ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য দলিলে স্বীকৃতি পেয়েছে। 

গত ৭ মার্চ রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। 

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, স্টেট ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরিন পারভিন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, শতভাগ বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার, রপ্তানি, কর্মসংস্থান এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে হবে।

আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযাদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুব লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রবাসীদের মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী সংগঠনের উদ্যোগে নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন রেস্টুরেন্টে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপিকে সংবর্ধনা প্রদান করে।  

মো. আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী এবং বাংলাদেশ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here