বগুড়ায় লোকসান কমাতে চারা উৎপাদন করছেন কৃষকরা

0

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নার্সারিতে না গিয়ে কৃষকরা চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। এই এলাকার কৃষকদের উঠান এখন মিনি নার্সারিতে পরিণত হয়েছে। অন্য এলাকা থেকে চারা কিনে লোকসানে পড়তেন কৃষকরা। লোকসান কমাতে নিজেরাই শুরু করেছেন চারা তৈরির কাজ। বন্যার পরবর্তী সময়ে জমিতে আগাম জাতের বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ফলানোর স্বপ্ন এখন বগুড়ার কৃষকের।

জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকাটি বাঙালি নদী ও যমুনা নদীতে ঘেরা। এ কারণে এ এলাকার মাটি বেলে দোআঁশ। তাই এখানে মরিচ, ভুট্টা, ধান, পাটসহ নানা ধরনের শাক সবজির আবাদ খুবই ভালো হয়। গত বছরগুলোতে কৃষকরা বিভিন্ন এলাকার নার্সারি থেকে চারাগাছ সংগ্রহ করে বারবার প্রতারিত হয়েছেন। নার্সারির চারায় তারা তাদের কাঙ্খিত ফলন পাননি। তাই গত ২ বছর ধরে কৃষকরা এখন নিজেরাই চারা উৎপাদন করছেন। এতে তাদের চারা ক্রয় খরচও কম হচ্ছে। 

উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চরঘাগুয়া চরের কৃষক হাবিল মন্ডল জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করে থাকেন। কয়েকবছর আগে তিনি নার্সারি থেকে চারাগাছ নিয়ে মরিচ চাষ করে প্রতারিত হয়েছেন। তাই গত ২ বছর থেকে তিনি নিজেই বসতবাড়ির আঙ্গিনায় মরিচের চারাগাছ উৎপাদন করছেন। এতে তিনি ভালোই লাভবান হচ্ছেন। ভাদ্র মাসে তিনি বিজলী এবং ১৮০০ জাতের হাইব্রিড মরিচের চারা বেডে বপন করেছিলেন। এখন তার চারাগাছগুলো বেশ বড় হয়েছে। এখন তিনি চারাগাছগুলো জমিতে বপন করার জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চারা উৎপাদনকারী চাষী জিল্লুর রহমান জানান, কাজলা ইউনিয়নের জামথল ঘাটের পাশে ৬০ শতাংশ একটি উঁচু জমি ৮০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে বেড করে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের বীজ বপন করেছি। সেগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় লাখ চারাগাছ বিক্রি করেছি। আরও দেড় লাখ চারাগাছ প্রস্তুত হয়েছে। প্রতি হাজার মরিচের চারা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, নার্সারি থেকে চারাগাছ ক্রয় করে প্রতারিত না হয়ে আমাদের পরামর্শে এখন কৃষকরা নিজেরাই চারাগাছ উৎপাদন করছেন। এতে একদিকে তাদের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে অপরদিকে কাঙ্খিত ফসল ফলিয়ে তারা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here