বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ফসলি জমি ও খাস জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী সংঘবদ্ধ চক্র। রাতের আঁধারে এই চক্রটি কৃষকদের নামমাত্র মূল্য দিয়ে আবার অনেকের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে বিক্রি করছে।
জানা যায়, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া, কল্যাণনগর, বিজরুল, নিনগ্রাম, রিধইলসহ বিভিন্ন স্থানে মালিকানা ফসলি জমি ছাড়াও সরকারি খাস জমি থেকেও গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গুলিয়া গ্রামে সরকারি খাস জমিতে এক্সক্যাভেটর (ভেকু) মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করায় ওই জমি পুকুরে পরিণত হয়েছে। চিহ্নিত মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাকে করে এসব জমির মাটি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রকাশ্যে মাটি কেটে বিক্রি করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার গুলিয়া গ্রামের কৃষকরা জানান, তারা এক শতাংশ জমির এক ফুট মাটি বিক্রি করেন এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। সেই মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে ভাটায় পৌঁছে দিচ্ছেন দ্বিগুন দামে। উত্তোলনকৃত মাটি অর্ধশতাধিক ট্রাক্টর-মহেন্দ্র দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ট্রাক্টর-মহেন্দ্রর বিরামহীন চলাচলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলার পাকা সড়কগুলো। পাশাপাশি বিকট আওয়াজ আর ধুলাবালির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের জনজীবন।
থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি অফিসের নায়েব জমশের আলী জানান, সরকারি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে শুনেছি। যারা সরকারি জমি ও ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, কোনও অবস্থায় ফসলি জমির মাটি বিক্রি করা যাবে না। যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।