‘তারুণ্যের সমাবেশ’ বানচাল করতে পুলিশ গায়েবি মামলা, ধরপাকড়সহ নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
রবিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন টুকু।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশে বাধা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে শনিবার রাত থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরপাকড় করছে, হয়রানি করছে। এটি পুলিশের কাজ নয়। সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা সবার জন্য সমান থাকা উচিত।
আগামীকাল সোমবার বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে এই তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বগুড়ার আশপাশের ১৬টি জেলার যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। চার কোটির বেশি নতুন ভোটার ১৫ বছর ভোট দিতে পারেননি। ভোটের অধিকার, বাক্ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। স্বৈরাচারী কায়দায় ফ্যাসিবাদী চরিত্রে এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। বিচারের নামে প্রহসন চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী দলের ওপর খুন-গুম, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার প্রমুখ।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ১৬ জেলার তারুণ্যের সমাবেশ প্রথমে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিলেন আয়োজকেরা। একই দিন বগুড়া জেলা যুবলীগ শহরের সাতমাথায় পাল্টা শান্তি সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যুবলীগ আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তারুণ্যের সমাবেশ সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যুবলীগও সোমবারের বদলে রবিবার শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে।