বগুড়ার গাবতলীতে সম্মেলনে যাওয়ার পথে কাহালু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতা হামলা শিকার হয়েছেন। এই সময় তাদের ব্যবহৃত মোটারসাইকেল ভাংচুর করা হয়। রবিবার সকাল ১১ টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ সাবগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের অভিযোগ কিছু সন্ত্রাসীরা এই হামলার ঘটনা ঘটায়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানান, রবিবার গাবতলী পৌর ছাত্রলীগ ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সভা আয়োজন করা হয়। ওই সভায় যোগ দিতে বগুড়া থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে সাবগ্রামে ফজলে রাব্বি ও শুভ আহম্মেদের মোটরসাইকেল অন্যানদের থেকে কিছুটা পিছু পড়লে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। মোটরসাইকেল থামিয়ে এসএস পাইপ ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলায় ফজলে রাব্বি ও শুভ আহম্মেদ পিঠ,বুক ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। এই সময় ফজলে রাব্বি ও শুভ আহম্মেদের ব্যবহত প্ল্যাটিনা মোটরসাইকেল ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় মাহাফুজারের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাসেল মন্ডল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি আবু ওবায়দুল হাসান স্বপন ও শুভ নামের একজন সরাসরি অংশ নেন।
আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনে যাওয়ার পথে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠনের জন্য টাকা নিয়েছেন। সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ কোন্দল চলে আসছিল। এজন্য আজকের এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসবের সাথে সম্পৃক্ত নই।
বগুড়া নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কাউকে পাইনি। দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ভাংচুর হওয়া মোটরসাইকেল ফাঁড়িতে রাখা আছে। কোন পক্ষ এই নিয়ে এখনও অভিযোগ জানাইনি।