শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বগুড়ার বাজারে আরেক দফায় কমলো দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। এদিকে বাজারে সবজির দাম না থাকায় বিপাকে কৃষকরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ার বাজারে আবারো কমেছে সবজির দাম। সাতদিন আগে যে সবজির দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০টাকা কেজি তা এখন ২০ থেকে থেকে ৩০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের চেয়ে সরবরাহ আরো বেড়েছে। কৃষকরা বলছেন, সবজি বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী, রাজাবাজার, কলোনী, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০টাকা দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০টাকা কেজি। মটরসুটি বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকা কেজি যা আগে বিক্রি হয়েছে ১০০টাকা কেজি। বেগুনের দাম কমে ২০ থেকে ৩০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ১০টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০টাকা, করলা ৪০টাকা, পেঁয়াজ ৪৫টাকা, মূলা ১৫টাকা, গাঁজর ২৫টাকা, মিষ্টি লাউ ৩০ থেকে, শসা ২৫টাকা, বরবটি ৪০টাকা, পেঁপে ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাতা কপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০টাকা।
বগুড়া রাজাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। বাজারে এখন প্রচুর শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, দাম কমায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা শহরের চেলোপাড়া এলাকার আব্দুস সালাম জানান, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। যে কারণে দাম কম। সবজির দাম কম হওয়ায় বেশি বেশি করে কিনেছি।
বগুড়া সদরের পল্লীমঙ্গল এলাকার কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, বাজারে সবজির দাম নেই বললেই চলে। এক মণ সবজি বিক্রি করে গাড়ি ভাড়া ও শ্রমিক খরচ উঠছে না। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
রাজাবাজার পাইকারী আড়তদার ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, বগুড়ার বৃহত্তর সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে সরবরাহ বাড়ায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কমেছে। তমে বাজারে এমন পরিস্থিতি থাকবে না। শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে গেলে দাম আবারো বাড়তে পারে।