ফেনী বিমানবন্দর চালু হলে খুলবে সমৃদ্ধির দ্বার

0

রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম ফেনী। বিমান যোগাযোগ চালু থাকলে এতে সহজে বিদেশি বিনিয়োগকারী আসতে পারবেন। খুলে যাবে সমৃদ্ধির দ্বার। ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলার বিমানবন্দরটিতে বিমান নামা বন্ধ রয়েছে গত ৮৬ বছর ধরে। জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়ের তথ্য মতে প্রায় ২ লাখের বেশি প্রবাসী আছে ফেনীর ৬ উপজেলায়। 
ফেনী বিমান বন্দরটি সাত যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এটি সংস্কার করে চালু করলে পাল্টে যাবে ফেনীর দৃশ্যপট। এমনটাই দাবি ফেনীবাসীর।
এতে যেমন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এ অঞ্চলের মানুষ। একইসঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়ও।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার এই বিমান ঘাঁটিটি নির্মাণ করে।
১৯৩৮ সালে জাপান ব্রিটিশ যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ শাসক গোষ্ঠী জাপানকে কাবু করতে তিনটি বিমান বন্দর প্রতিষ্ঠা করে। এর মধ্যে একটি হল ফেনীতে ।
 
সরেজমিনে বিমানবন্দর এলাকায়  গিযয়ে  দেখা যায়, অনেক জমিতে আবাদ হচ্ছে ফসল। আর রানওয়েটি স্থানীয়রা ব্যবহার করছে গোচারণ, ফসল মাড়াই ও শুকানোর চাতাল হিসেবে। 
 সুখের বিষয় হলো এখানে ১৯৯৫ সালে সরকারি ভাবে গার্লস ক্যাডেট কলেজ  প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আশপাশের জনগোষ্ঠীর জন্য এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ধর্মীয়  শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা ও মসজিদ। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য বিমান বন্দরের সন্নিহিত এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মন্দির। 
ফেনী সদর হাসপাতাল মোড় থেকে ফেনী পৌরসভার অর্থায়নে সংস্কার ও উন্নয়ন করায় বিমান বন্দরে যাতায়াত একেবারে সহজ হয়ে গেছে।  

স্থানীয় সেলিম হোসেন বলেন, বৃটিশ ও জাপান যুদ্ধের সময় বৃটিশদের সুবিধার জন্য এখানে বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যুদ্ধের সময় সৈন্য ও খাদ্য নিয়ে এখানে নানাধরনের বিমান সারাদিন রাত ধরে উঠানামা করতো। তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এখানে আর কোন বিমান আসেনি।
মাওলানা আজিজ উল্লাহ আহমদী বলেন, একসময় এই বিমানবন্দর অনেক সুন্দর ছিল। অনেকগুলো স্থাপনা ছিল। আরো বিশাল জায়গা ছিল। যুগের পর যুগ কার্যক্রম এবং তদারকি না থাকায় স্থাপনাগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং অনেক জায়গা অবৈধ দখল হয়ে গেছে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেনীর সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যমণি বলা হয় ফেনীকে। প্রবাসীর নির্ভর জেলা ফেনীতে বিমানবন্দর চালু হলে এখানকার অর্থনীতির আমুল পরিবর্তন ঘটবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক অফিস সূত্র জানায়, অবৈধ দখলের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয়  ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুনরায় চালুর ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা পেলেই যথাযথ নিয়মনীতি মেনেই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here