ফেনীতে রেল ক্রসিং পারাপারের সময় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ২ জন জানানো হয়েছিল। ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ৬ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে নিহতরা হলেন – বরিশালের উজিরপুরের কাউয়ারান্থা এলাকার আবুল হাওলাদারের ছেলে ও দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালক মো. মিজান (৩২), কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনোহর পুর গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে আবুল খায়ের মিয়া (৪০) ও তার ছেলে আশিক (১৪)। তারা বাবা- ছেলে দুইজন ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্ম রিপাত (১৭) ও মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে মো. সাজ্জাদ (১৮)। তারা কুমিল্লার হাসানপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে ঈদের বাজার করার জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন।
শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক জানান, তারা ১১ বন্ধু এক সাথে ঈদের বাজার করার জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যাওয়ার পর অন্য বন্ধুরা তাদের লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে যায়। লাশগুলো গ্রামে পৌঁছার পর পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারগুলো শোকে হত-বিহ্বল হয়ে যায়। বিকেলে তাদের লাশ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফেনী রেলস্টেশন ক্যাম্প জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শাহ আলম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দুইজন এবং একজনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। দুইজন ঘটনাস্থলে এবং একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান তিনি।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, চৌদ্দগ্রামের তিনজনের নিহতের ঘটনা আমাদের জানা ছিলো না। পরে ক্রসচেকে তাদের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ১১ বন্ধু ট্রেনে ভ্রমণ করছিলো। তাদের তিনবন্ধু ট্রেনে থাকা অবস্থায় ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মৃতদেহ বন্ধুরা সরাসরি বাড়িতে নিয়ে গেছে। তাদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক রয়েছে।