ফুলপুরে বেড়েছে শিয়াল-কুকুরের উপদ্রব

0

ময়মনসিংহের ফুলপুরে আবারও বেড়ে গেছে শিয়াল কুকুরের উপদ্রব। রাস্তাঘাটে বের হলে কুকুরের ভয়ে হাঁটা যায় না। বাসস্ট্যান্ড, পুরাতন ডাকবাংলা ও বিভিন্ন মহল্লার অলিগলি এবং জনবহুল এলাকায় কুকুরদেরকে দাপটের সাথে দলবদ্ধভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এতে ভীত ও শংকিত এলাকাবাসী। বিগত দিনে কুকুরের কামড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ফুলপুরের ভাইটকান্দি ইউনিয়নের সখল্যা মোড়ের জালাল উদ্দিনের ৭ বছর বয়সী শিশু তামিমকে। এছাড়া কুকুর কর্তৃক ছাগল কামড়ানোর অপরাধে ২০২২ সনে উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের গুপ্তেরগাঁও এলাকার শফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু তবু থামছে না এসব ক্ষতিকারক প্রাণীর উপদ্রব। আরেকটি কষ্টদায়ক বিষয় হলো, এসব বিষাক্ত প্রাণীর কামড় খেয়ে ভ্যাক্সিনের জন্য গেলে পাওয়া যায় না। পেলেও চড়া দামে ক্রয় করতে হয়। এ সমস্যায় পড়ে ময়মনসিংহ ও বাড়ি দৌড়াদৌড়ি করেছেন কতজন এর কোন ইয়ত্তা নেই। কারণ উপজেলা পর্যায়ে এর ভ্যাক্সিন সরবরাহ করে না সরকার। ফলে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের টেনশানের আর অন্ত নেই। গত কয়েকদিন আগে এক পাগলা শিয়ালে  একাই কামড়িয়েছে প্রায় ২০ জনকে। উপজেলার আলোকদি, নগুয়া, বনগ্রাম, বাতিকুড়া, মধ্যনগর ও পশ্চিম বাখাই, পূর্ব বাখাইসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে কামড়ায় সে। এর কামড়ে আব্দুল হামিদ, আজিজ, আবু সিদ্দিক, আলমগীর, শাহীন, তামিম, আকাশ, বাবুল, জুলেখা, জুলমত, রেনু, মিনা, শান্ত ও মোশাররফসহ অনেকেই আহত হন। পরে তারা ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর থেকে অভিভাবকদের মাঝে নতুন আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের প্রধান কর্মকর্তা ডা. জায়েদ মাহবুব খানের নিকট জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে বেশ কয়েকজন আমাদের হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ভ্যাক্সিন সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ হিংস্র প্রাণীর কামড়ে আহতদের জন্য যে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয় তা আমাদের উপজেলা লেভেলে থাকে না। তবে ভুক্তভোগীরা দাবি জানিয়েছেন এসব দুর্লভ ভ্যাক্সিন যাতে উপজেলা পর্যায়ে রাখা হয়। অভিভাবকরা ক্ষতিকারক এসব প্রাণীর উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here