পেশাদার ফুটবলের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের পথচলা থামিয়ে দিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। গত নভেম্বরে কোচের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ানোর পর ব্রাজিলিয়ান সিরি আর ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে তার চুক্তি বাতিল হয়। এরপর থেকে ক্লাবহীন ছিলেন তিনি। সেই ঘটনার তিন মাস পর এক ভিডিও বার্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায়ই বলে দিলেন মার্সেলো।
বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া পোস্টে মার্সেলো বলেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ হচ্ছে। তবে ফুটবলকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই আমার মধ্যে আছে।’ সেই ভিডিও বার্তায় মার্সেলোর ফুটবল ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলোও দেখানো হয়।
২০০২ সালে ফ্লুমিনেন্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে শুরু মার্সেলোর। ২০০৫ সালে একই ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। দুই বছর পর অর্থাৎ ২০০৭ সালে মার্সেলোকে কিনে নেয় স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ৩৬ বছর বয়সী লেফট–ব্যাককে।
রিয়ালে ১৫ বছর অনেক সুখকর স্মৃতি জমিয়েছেন তিনি। তাই নিজেকে মাদ্রিদিস্তা বলে সম্বোধন করে ৩৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘১৮ বছর বয়সের সময় আমার দরজায় কড়া নেড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পরে সেখানে পাড়ি জমাই। তাই এখন গর্ব ভরে বলতে পারি, আমি সত্যিকারের মাদ্রিদিস্তা।’
নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই লেফট–ব্যাক রিয়ালের জার্সিতে একের পর এক শিরোপা জিতছেন। রিয়ালের হয়ে ৬টি লিগ শিরোপা ও ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট ২৫টি ট্রফি জয়ের অংশ তিনি। একপর্যায়ে তো মার্সেলোই ছিলেন ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা ফুটবলার।
পরে অবশ্য মার্সেলোকে পেছনে ফেলেন নাচো, লুকা মদরিচ ও দানি কারভাহাল। রিয়ালের ইতিহাসের সফলতম ফুটবলারদের একজন হলেও জাতীয় দলের জার্সিতে অবশ্য মার্সেলোর তেমন কোনো সাফল্য নেই। ২০১৩ সালে জেতা ফিফা কনফেডারেশনস কাপই তাঁর একমাত্র অর্জন। ব্রাজিলের জার্সিতে সব মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৬টি গোলও আছে এই ডিফেন্ডারের।