ফিলিস্তিন ইস্যু: নিরাপত্তা পরিষদের আরো যেসব প্রস্তাবকে পাত্তাই দেয়নি ইসরায়েল

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জন্য  জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নৃশংস আগ্রাসনের প্রায় দেড় মাসের মাথায় বুধবার এই প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতিতে বলেছে, যতক্ষণ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হবে ততক্ষণ ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির কোনো সুযোগ জায়গা নেই’।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতি ইসরায়েলের নতুন নয়। এর আগেও ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইহুদিবাদী দেশটি।

এসবের মধ্যে রয়েছে-

২০১৬: ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বন্ধের প্রস্তাব

২০১৬ সালে, নেতানিয়াহু অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কার্যকলাপ বন্ধ করার দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

শুধু তাই নয়, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় নিউজিল্যান্ড ও সেনেগাল থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতদেরও প্রত্যাহার করে নিয়েছিল  ইসরায়েল।

২০০৯: গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে, তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন তৎকালীন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের কাছে ‘হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’র আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস করার পরও সহিংসতা অব্যাহত ছিল।

২০০৪: রাফাহ শরণার্থী শিবিরে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়  ইসরায়েল 

২০০৪ সালে রাফাহ শরণার্থী শিবিরে বাড়িঘর ধ্বংস করছিলো ইসরায়েল। এমন সময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব পাস করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানায়। তবে ইসরায়েল তা আমলে নেয়নি।

ইউএনআরডব্লিউএ সে সময় জানিয়েছিল, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সাত দিনের মধ্যে ইসরায়েল আরো ১৬৭টি ভবন গুড়িয়ে দেয়।

১৯৬৭: অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে অসংখ্য প্রস্তাব

১৯৬৭ সালের পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক পাস করা এক ডজনেরও বেশি প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here