দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে এবার দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দুর্নীতিবিরোধী একটি বিশাল বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ভয়াবহ দুর্ভোগ তৈরি করেছে। তবে এতে শুধু জনজীবন বিপর্যস্তই হয়নি, বরং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকেও সামনে এনেছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে লাখ লাখ মানুষ যাত্রাপথে আটকে পড়েছে, রাস্তায় গাড়ি ভেসে গেছে, শহরগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ইঁদুরবাহিত রোগ লেপ্টোস্পাইরোসিস ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহভাবে।
এই অভিযোগ এখন গোটা ফিলিপাইনজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে-কোটি কোটি টাকার সড়ক, সেতু, বাঁধ নির্মাণে খরচ হলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কেন?
টিকটক, ফেসবুক ও এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে-প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদাররা ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, প্রকল্পটি আদৌ নেই। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বরাদ্দ করা সরকারি অর্থের ৭০ শতাংশ দুর্নীতিতে লোপাট হয়েছে।
এতে হাউস স্পিকার পদত্যাগ করেছেন (যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন), সিনেটের প্রধানকেও অপসারণ করা হয়েছে। কারণ, একটি সরকারি টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার তার নির্বাচনী প্রচারে অর্থ দিয়েছিলেন, যা বেআইনি।
জনরোষ আরও বেড়েছে রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদার পরিবারের সন্তানের বিলাসবহুল জীবন দেখে। তাদের ‘নেপো বেবিস’ বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের বিদেশ ভ্রমণ, দামি পোশাক ও গাড়ির ছবি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সূত্র : বিবিসি।