‘ফসলের দাম নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে’

0
‘ফসলের দাম নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে’

কৃষি অর্থনীতি টেকসই করতে সবার আগে কৃষকের ফসলের দাম দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

তিনি বলেন, চলতি বছরে চার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করে কৃষকের প্রয়োজনে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। প্রকল্প দুর্নীতি ও অপচয় কমিয়ে দেশের কৃষককের স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘কৃষির রুপান্তর : দেশীয় উপযোগী কৃষিযন্ত্র ও কৃষিপণ্য রপ্তানি চ্যালেঞ্জ’ স্লোগানে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)।

কৃষি সচিব বলেন, দেশের কৃষি খাতে সামগ্রিক উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ নিশ্চিত করতে আগামী ২৫ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করা হবে। আমরা এমনভাবে পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে করে সারের খরচ বছরে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হয়। ইতোমধ্যে সারে চলতি বছরেই ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ প্রকল্পের পরিচালক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ধারায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। শ্রীলঙ্কা ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে মানসম্পন্ন কৃষিযন্ত্র উৎপাদন এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে, যা দেশের কৃষিতে সময় সাশ্রয়, ব্যয় হ্রাস ও নতুন শিল্প তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দুরুল হুদা বলেন, দেশে আধুনিক কৃষিযন্ত্র উৎপাদনের সবচেয়ে বড় বাধা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অদক্ষতা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা। কম্বাইন হারভেস্টার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মতো অত্যাধুনিক কৃষিযন্ত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ হিসেবে তৈরি হওয়ার পথে বড় বাধা তৈরি হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি যেখানে ইঞ্জিন তৈরি হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here