ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর শান্তা হত্যার প্রধান আসামি তার স্বামী আসাদ ওরফে বাচ্চুকে (৪০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৮ জানায়, ফরিদপুর সদরের একটি এগ্রো ফার্ম থেকে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নিজ স্ত্রী শান্তাকে (২২) খুন করে আসাদ ওরফে বাচ্চু (৪০) পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিস এগ্রো ফার্ম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম শান্তা এবং তার স্বামীর নাম বাচ্চু শেখ (৪০)। তাদের দু’জনের বাড়ি মধুখালী উপজেলায়। শান্তা ওই ফার্মের শ্রমিক ছিলেন। তার স্বামী বাচ্চু ফার্মের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরে কোতয়ালী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি বাচ্চুকে গ্রেফতারের জন্য র্যাবের সহযোগিতা চান। পরে র্যাব-৮ সিপিসি-২ (ফরিদপুর ক্যাম্প) ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং পালাতক আসামির অবস্থান নোয়াখালীতে নিশ্চিত করে। অভিযানে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ যোগদান করে। পরে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এবং র্যাব- ৮, সিপিসি-২ এর যৌথ অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মূল হত্যাকারী আসাদ ওরফে বাচ্চুকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। সে রাজবাড়ীর কানাই মাতুব্বর গ্রামের সাত্তার শেখের ছেলে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর আসামিকে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।