প্রোটিনে ভরপুর ফল খেয়েই কমবে ওজন, কী কী খাবেন?

0

প্রোটিন একটি অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন হ্রাস পায়। মানবদেহের গঠন উপাদান হিসেবেও প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পাশাপাশি প্রোটিন পেশীর ভর বৃদ্ধি করে, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে, বিপাক বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ কমায়। 

ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, বাদাম, ছানা, মসুর ডাল, কুইনোয়া এবং দুগ্ধজাত পণ্য প্রোটিনের ভালো উৎস। অনেকে তাদের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করে থাকেন। আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিছু ফলও প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রোটিন ডায়েট করে যারা ওজন কমানোর লক্ষ্যে নেমেছেন, তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই কয়েকটি ফল।

কলা

কলা একটি সহজলভ্য এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এটি পটাশিয়ামের একটি দারুণ উৎস। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, ফোলেট এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ একসঙ্গে রাখতে হলে দিনের শুরুটা করতে পারেন কলা খেয়ে।

পেয়ারা

পেয়ারা হলো সবচেয়ে বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে একটি। এক টুকরো পেয়ারায় প্রায় ১.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পেয়ারা ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কিউই

কিউইও প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপ্রিকট

খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন অ্যাপ্রিকট বা খোবানি। মিষ্টি খেতে যাঁরা ভালোবাসেন তাঁরা সুস্বাদু মিঠে স্বাদের শুকনো খোবানি দিয়ে প্রাতঃরাশ শুরু করতে পারেন। তাতে পেট ভরবে, আবার মিষ্টির লোভও মিটবে। স্মুদি, স্যালাড, ট্রেইল মিক্সে শুকনো খোবানি মিশিয়ে খেতে পারেন।

কাঁঠাল

প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের একটি অসাধারণ উৎস হলো কাঁঠাল। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বেদানা

পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ বেদানায় ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। বেদানাও প্রোটিনের একটি ভালো উৎস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here