সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের শিক্ষার মান সবচেয়ে ভালো এবং সিলেট বিভাগের শিক্ষার মান সবচেয়ে বেশি খারাপ বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালনায় জরিপের ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আর প্রকাশ করা এই তথ্য প্রাথমিক শিক্ষার কৌশল গ্রহণে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
শনিবার কক্সবাজারের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ২০২২ এর জাতীয় প্রচারণা কৌশল শীর্ষক এক কর্মশালায় এই জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
সচিব ফরিদ বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি এবং নিয়ম মেনেই এই জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতি দুই বছর পর পর এই জরিপ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের পর ২০২২ সালে এই জরিপ করা হলো। করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে জরিপে যে ব্যবধান উপস্থাপন করা হয়েছে তা ৫ বছরের ব্যবধান। আগামী ২০২৪ সালে আবারও জরিপ করা হবে। এই জরিপ সাহিত্য (বাংলা) ও গণিত বিষয়কে নিয়ে করা। আন্তর্জাতিকভাবে এই দুইটি বিষয়ের সাথে বিজ্ঞান বিষয়েও যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তা করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমান সরকারকে শিক্ষাবান্ধব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ২০২১ মিশন সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জরিপে ফলাফল, মন্তব্য জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করে আগামতে আরও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব হবে। এটা নিয়েই আমরা পৌঁছে যেতে চাই ২০৪১ এর মিশন সফল করতে। আমাদের রাষ্ট্র স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে যেতে চাই।
এতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশন-এর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ডেপুটি টিম লিডার মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার শিক্ষা বিভাগের ৯০ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়।
কর্মশালায় এ মূল্যায়ন কার্যক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে অংশ নিতে শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের মেন্টর দলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।