একদম সাদামাটা চুল বাঁধা। খোলা থাকলে তো কথাই নেই। সেখানেই চমক! রঙের ঝলকানিতে চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি। আর সবকিছুই মেলে হেয়ার কালার হাইলাইটারে। তাতেই যে কোনো আয়োজনে হবেন সবার চেয়ে আলাদা।
আধুনিক তবে হাজার বছরের পুরনো। মেয়েদের চুল রং করার প্রচলন শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে থেকে। গ্রিসের রমণীরা হেনা ব্যবহার করে চুল লাল করতেন এবং তা হাইলাইটস করার জন্য সোনার গুঁড়া ছড়িয়ে দিতেন। কিন্তু সেসব পুরনো গল্প গত হয়েছে। এখনকার সময়ে তরুণ-তরুণীরা হেয়ার কালারের চেয়ে হেয়ার হাইলাইটকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। মূলত মাথার মাঝের কিছু চুল গোছা করে পছন্দের রঙে রাঙিয়ে নেওয়াকে হেয়ার হাইলাইট বলে।
হেয়ার হাইলাইটসের কাজগুলো সাধারণত পারলারে করানো হয়। আর এর প্রসাধনে বেশির ভাগই থাকে রাসায়নিকযুক্ত। এক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে হেয়ার হাইলাইট করাতে চান তবে প্রাকৃতিক উপাদান হবে বেস্ট অপশন। ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না এবং ইচ্ছামতো হেয়ার হাইলাইট করানো যায় খুব সহজেই।
♦ ভালো মানের কন্ডিশনার এবং দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে হেয়ার হাইলাইটার বানাতে পারেন। মিশ্রণটি ঠিক যতটুকু চুল হাইলাইটস করতে চান ততটুকু চুলে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। একটি চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে নিন। তারপর চুলগুলো খোঁপা করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
♦ ক্যামোমাইল টিব্যাগ চুল হাইলাইট করতে বেশ কার্যকর। ক্যামোমাইল টি ব্যাগ ছাড়া রং চা দিয়ে হেয়ার হাইলাইট করা যায়। একটি টিব্যাগ কমপক্ষে ১০ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন। টিব্যাগ থেকে রং ছড়ালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে ২-৩ বার করতে হবে। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।
♦ ২ কাপ ভিনেগার, ১ কাপ বিশুদ্ধ মধু, ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ দারুচিনি অথবা এলাচ গুঁড়া। সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি ব্রাশ অথবা চিরুনি দিয়ে যে চুলগুলো হাইলাইট করতে চান, সেখানে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। এবার একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো পেঁচিয়ে রাখুন সারা রাত। হাইলাইট করার জন্য সাধারণত রোদে বসে থাকতে হয়, কিন্তু এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে রোদে বসার প্রয়োজন পড়ে না। মধু হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মতো চুলের রং পরিবর্তন করে।