বিপিএলের নিলাম থেকে বাদ পড়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনামুল হক বিজয়। ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শেষ না করেই কেন তাঁকে তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো এ নিয়ে বিসিবির কাছে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
আগামীকাল (৩০ নভেম্বর) বিপিএলের নিলাম। তার ঠিক আগের দিন বিসিবির হালনাগাদ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মোট ৯ ক্রিকেটার। যাদের মধ্যে আছেন এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আরিফুল হক, নিহাদুজ্জামান, থিসারা পেরেরা, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন সিনিয়র, আলাউদ্দীন বাবু, শুভম রানজানে।
এর আগে বিসিবি জানিয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে গত আসরের ফিক্সিং বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে, তাদের কাউকে নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হবে না। সেই অবস্থানের অংশ হিসেবেই বাদ দেওয়া হয়েছে বিজয়–মোসাদ্দেকদের।
কিন্তু বিজয় বলছেন—এভাবে কাউকে ‘সন্দেহভাজন’ বললেই সে অপরাধী হয় না। এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজয় বলেন, ‘কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি। তারপরও আমাদের যে হেনস্তা করা হচ্ছে, এর দায় নেবে কে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা করেছি, তার প্রমাণ দিন। এতোদিন বাংলাদেশের জন্য খেলেছি। আমাদের কি কোনো সম্মান নেই? তদন্তই তো শেষ হয়নি। যদি হয়ে থাকে, সারা দেশের মানুষকে জানিয়ে দেন, আমরা যদি বাটপার হই। আর যদি খারাপ না হই, তাহলে দিনের পর দিন আমাদেরকে কীভাবে ছোট করা হচ্ছে?’
বিজয়ের দাবি, বিসিবির কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ‘উইদাউট এনি এভিডেন্স আমাদের বাদ দেয় কীভাবে? আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ফোন দিয়েছি, কেউ ফোন ধরে না। বুলবুল স্যার, ফাহিম স্যার। কেউ না। আপনারা যদি গার্জিয়ান হন, তবে সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে, কীভাবে আমাদের ছোট করেন?’ বলেন বিজয়।
তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে সব নথি প্রস্তুত হচ্ছে। ‘এটা বিগেস্ট ইস্যু। সব পেপার রেডি হচ্ছে। আজকের মধ্যেই বিসিবির কাছে চিঠি যাবে।’
বিজয় গত বিপিএলে খেলেছিলেন দুর্বার রাজশাহীর হয়ে, আর মোসাদ্দেক ছিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসেতে।
এদিকে বাদ পড়াদের তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনায় আসে আরেক নাম স্পিনার আলিস আল ইসলাম। প্রথম তালিকায় তাঁর নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও হালনাগাদ তালিকায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন তিনি।