সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। এমন আশঙ্কায় ইসরায়েল বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে।
বুধবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা সতর্কতার অংশ হিসেবে রিজার্ভ ফোর্স তলব করেছে।
সাবেক সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান অ্যামোস ইয়ালদিন বলেন, ইসরায়েলে যদি ইরান সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, এতে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। তিনি গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন।
হিব্রু ভাষার মিডিয়ার খবরে বলা হয়, হুমকি মূল্যায়নের পর বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, সেনাদের তলব করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে পরিচিত একজন পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ না করেই কীভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছে ইরান। তারা এমন কিছু করতে চায়, যাতে করে জবাবও দেওয়া যায়, আবার উত্তেজনাও না বাড়ে।
মার্কিন থিংকট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইলিয়ট আবরাসমও বলছে, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না। তবে ইসরায়েলি স্বার্থে তেহরান আঘাত হানবে।
এদিকে সোমবারের ওই হামলার পর লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ বেশ কয়েক দফা ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছে।