গাজীপুরে পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলে নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত এক যুবক ৪ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আদাবৈ এলাকস্থিত এক পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দু’পক্ষের লোকজনই অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। গত ১৬ জুন দুপুরে কারখানার মেইন গেইটের সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে ঝুট মালামাল উঠানোর কাজ করছিলেন আতিকুর রহমান। এসময় ১০/১২ জন যুবক পিকআপ ভ্যানে মালামাল উঠাতে বাঁধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন আতিকুর রহমানকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হলে কোমরের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন আতিকুর রহমান। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার উত্তরা এলাকার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম জানান, ওই দিনের ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এরআগে গুলিবিদ্ধ শাহাদাত হোসেনের মা করিমা বেগম বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেন। ঘটনার পর সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৮জন সহযোগীসহ বø্যাক শাহীনকে গ্রেফতার করে। এসময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।