পেহেলগাম হামলার ঘটনায় অভিযোগপত্র দাখিল

0
পেহেলগাম হামলার ঘটনায় অভিযোগপত্র দাখিল

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর অভিযোগপত্র দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। অভিযোগপত্রে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জম্মুর একটি বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়।  এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। টিআরএফ প্রথমে হামলার দায় মেনে নিলেও পরে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে।এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে তিনজনের নাম রয়েছে, যাদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানি। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তারা নিহত হন।

এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।

এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেফতার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তারা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 

তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।

সূত্র: বিবিসি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here