পেস তাণ্ডবে টাইগারদের স্বস্তির সকাল

0

সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান ঘেরা স্টেডিয়ামে টাইগার পেসারদের তাণ্ডবে রীতিমত কাঁপছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সফরকারীদের চার উইকেটে ফেলে দিয়ে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

আগের দিনটা বেশ গুমোট কেটেছে। ব্যাটিংয়ে মোটাদাগে অস্বস্তির পর বোলিংও হয়েছিল ছন্নছাড়া। সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের ভুলের মাশুল দ্বিতীয় দিনে তুলে দিচ্ছেন টাইগার পেসাররা। নাহিদ রানা তিনটি ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেট নিয়েছেন। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) আগের দিনের ৬৭ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই আপরাজিত ব্যাটার বেন কারন ও ব্রায়ান বেনেট। দিনের তৃতীয় ওভারে বেন কারেনকে ফেরান নাহিদ। তার বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কারেন। ৫৫ বল খেলে ১৮ রান করেন তিনি।

নাহিদের দ্বিতীয় শিকার আরেক ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। এরপর নিকোলাস ওয়েলচকে সরাসরি বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। মাত্র দুই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২১ রান তুলতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীর। 

এরপর শন উইলিয়ামসের সঙ্গে জমে গিয়েছিল আরভাইনের জুটি। জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ ভাঙতে নাহিদ রানাকে আক্রমণে এনেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কাজেও লেগেছে তার বোলিং পরিবর্তন। গতিময় পেসারের চমৎকার ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়েছেন ক্রেইগ আরভাইন। ভাঙল জিম্বাবুয়ের ৪১ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৮ করেন আরভাইন।

৩৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১৩৩। শন উইলিয়ামস ৩৩ ও ওয়েসলি মাধেভেরে ৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। বাংলাদেশের চেয়ে ১২৪ রানে পিছিয়ে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের মাত্র ১৯১ রানে গুঁড়িয়ে প্রথম দিনে তাদের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান।

১৯১ রানের এই সংগ্রহ ফিরিয়ে এনেছে বিব্রতকর রেকর্ডও। সবশেষ ২০০১ সালে এমন এক দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকায় সেদিন বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৭ রানে। এরপর আর কখনোই দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২০০ এর নিচে অলআউট হয়নি টাইগাররা। সেটা হলো একেবারে দুই যুগ পর এসে।

বাংলাদেশ একাদশ:

মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা।

জিম্বাবুয়ে একাদশ:

বেন কারন, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধেভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটকিপার), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর ন্যাওচি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here