জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি দিনা বলুয়ার্তের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মুহূর্ত।
পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর, রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী এবং সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত এশিয়া ও ওশেনিয়া দপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। বিশেষ করে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণে যেখানে বাংলাদেশ পেরুর সঙ্গে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি শেয়ার করতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে একটি রিমোটলি অপরেটেড ভেহেকেল- আরওভি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যা মিনুস্কাতে পেরুর শান্তিরক্ষীরা ব্যবহার করতে পারবে। আগামী এপ্রিলের কোনো এক সময় ঢাকায় এ হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রদূত মুহিত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। পেরুর রাষ্ট্রপতি ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রুবি পারভীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা।