পুতিন- শি জিনপিংয়ের কাছে আসার শুরুটা হয়েছিল ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগ দিয়ে। গত বছর শীতকালীন অলিম্পিকের সময় চীন সফরে গিয়ে শির সঙ্গে দেখা করেছিলেন পুতিন। এ সময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘সীমাহীন’ এক বন্ধুত্বের।
সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেশিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিন পিং। এরপর প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন তিনি।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে সমরাস্ত্র দিতে চাচ্ছে চীন। তবে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা না বললেও পক্ষেও যায়নি তারা। বলা চলে, নিরপেক্ষ একটি অবস্থানে রয়েছে। এমনকি যুদ্ধ থামাতে শান্তি পরিকল্পনাও দিয়েছে বেইজিং।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাব বাড়াতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। এরই অংশ হিসেবে কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের। আগামী শুক্রবার জিনপিংয়ের এই সফরের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসির এই পদক্ষেপে চীনের হাঁকডাকে কিছুটা হলেও ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে মস্কোতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে রাশিয়া ও চীনের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের সামাল দিতে এই অংশীদারত্বকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে দেশ দুটি।
মস্কোতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে রাশিয়া ও চীনের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের সামাল দিতে এই অংশীদারত্বকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে দেশ দুটি।