রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিদেশের মাটিতে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলে তা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু ও শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় তুলে নিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ সম্প্রতি পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একটি বক্তৃতায় মেদভেদেভ বলেন, “পুতিনকে গ্রেফতার করা হলেই সেই দেশকে আক্রমণ করা হবে।”
পুতিন-ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, “এটা পরিষ্কার, এমন কোনও ঘটনা কখনওই ঘটবে না। কিন্তু কল্পনা করা যাক, পুতিনকে গ্রেফতার করা হল। ধরা যাক, জার্মানিতে গেলেন পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রধান। আর সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হল। সেটা কেমন হবে? সেটা কিন্তু রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।”
মেদভেদেভ বলেন, “সেক্ষেত্রে বুন্ডেসটাগের উপরে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়বে। জার্মান চ্যান্সেলরের অফিসে হামলা চলবে।”
এ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছে ইউক্রেন। যদিও চিনা প্রেসিডেন্টের মস্কো-সফর নিয়ে একেবারে চুপ তারা। ফেব্রুয়ারি মাসে চিন যুদ্ধ থামাতে ১২টি পয়েন্টের একটি শান্তি-প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। ধারণা করা হচ্ছে, চিন যতই রাশিয়ার হয়ে কথা বলুক না কেন, তাদের নিয়ে আশাবাদী ইউক্রেন। শি-র মস্কো সফরের পরে ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সে নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘তেমন নির্দিষ্ট কোনও কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখনও কিছু জানি না।’’ সূত্র: রয়টার্স, ফক্সনিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ডয়েচে ভেলে