পিরোজপুরের ৩টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে ৩৩টির মধ্যে বাদ পড়েছে ১০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পিরোজপুর-১ আসনে ৪টি, পিরোজপুর-২ আসনে ১টি ও পিরোজপুর-৩ আসনে ৫টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর বৈধ হয়েছে ২৩টি।
রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকমর্তার কার্যালয়ে বাছাইয়ে পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও জিয়াউল আহসান গাজী এবং তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ইয়ার হোসেন রিপন ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী শাহ আলম এর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্ণ দাখিল না করা, হলফ নামা না দেয়া, ভোটারদের স্বাক্ষরে মিল না থাকা এবং ইউটিলিটি বিল সংক্রান্ত বিষয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এ ছাড়া পিরোজপুর-২ আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: খলিলুর রহমানের মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাফি ও কর ফাঁকির কারণে বাতিল হয়। বাকি ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে বিবেচিত হয়। এ আসনে জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) এর চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দীন মহারাজ এর মনোনয়নপত্রও বৈধ বিবেচিত হয়েছে।
পিরোজপুর-৩ আসনের ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল লতীফ সিরাজী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী প্রশান্ত কুমার হাওলাদার খোকন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তারেক মৃধা ও সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পাটির প্রার্থী মো.শহীদুল ইসলাম স্বপন এর মনোনয়নপত্র আয়কর রিটার্ণ দাখিল না করা, ঋণ খেলাফি থাকা এবং ভুল ভোটার তথ্য প্রদান করায় বাতিল ঘোষিত হয়েছে। বাকি ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে বিবেচিত হয়।
এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজী এবং আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আশরাফুর রহমানের মনোনয়নপত্রও বৈধ হয়েছে।