পাহাড়ে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সাপের কামড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাহাড়ে বসবাসকারীরা। বিশেষ করে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ উপদ্রব বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, দেশে প্রায় ৫ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ এর অধিক। খুলনা, রাজশাহী পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলেও এমন ঘটনা রয়েছে। যেসব মানুষ সাপের কামড়ে মৃত্যুবরণ করে তার মধ্যে কৃষক ও গৃহিনী উল্লেখযোগ্য বলছেন বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী সর্প দংশন, প্রতিকার, চিকিৎসা ও অবমুক্তকরণ বিষয়ক জনসচেতনা মূলক এক প্রশিক্ষাণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাঙামাটি বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, পার্বত্যাঞ্চল সাপের আবাসস্থল। এ অঞ্চলে প্রায় সময় সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। কারণ সচেতন না বলে। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে এক সময় প্রায় ১০০ প্রজাতির সাপের অস্তিত্ব ছিল। মানুষের জন সংখ্যা বৃদ্ধি । আর বসবাসের কারণে বন জঙ্গলে সাপের উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে। এছাড়া সাপের কামড়ের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসূমে। সাপের সাথে মানুষের দন্ড লেগে আছে। ইদানিং লোকালয় থেকে আমরা অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করেছি। সাপ কিন্তু মানুষের ক্ষতি করতে চাই না। সাপ যদি না তাকতো কোন ফসল রক্ষা করা যেত না। সাপ ফসলের জমি থেকে ইদুর নিধন করে। তাই সাপ হত্যা না করে। সাপ সর্ম্পকে সচেতন হওয়া এখন বেশি প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সর্প দংশন বিষয়ক প্রশিক্ষণে গণমাধ্যমকর্মী, বিজিবি, বন কর্মকর্তা কর্মচারী সেচ্ছাসেবকসহ প্রায় ২৫ জন প্রশিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।