বল সুন্দরী। নামটা অদ্ভুত। দেখতেও আকর্ষণীয়। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকলে সিঁদুর লাল, কমলা কিংবা হলুদ। দেখতে অনেকটা বলের আপেলের মতো। তবে আকারে ছোট। রসালো এ ফলের গন্ধও অতুলনীয়। তাই এর নাম বল সুন্দরী। সম্ভাবনাময় এ বল সুন্দরী চাষ ছড়িয়ে পড়ছে রাঙামাটিতে। চাহিদা বেশি। তাই বিক্রিও বেশি। বল সুন্দরী চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের।
এবার রাঙামাটিতে বল সুন্দরী ফলনে চমক লেগেছে বলছেন, চাষি সুশান্ত তংঞ্চঙ্গ্যা। রাঙামাটি মগবান ইউনিয়নের সোনারাম কার্বারি পাড়ারবাসিন্দা তিনি। প্রায় ১০ একর জমি জুড়েই তার আছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী ও আপেল কুলের বাগান। তবে এখন তার বাগান বল সুন্দরীর দখলে। প্রতিদিন তার বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয় ২০ থেকে ৪০ কেজি কুল। এরই মধ্যে অর্ধলাখ টাকার কুলও বাজারজাত করেছেন তিনি।
চাষি লাভলী চাকমা জানান, আপেলের চেয়ে মিষ্টি বল সুন্দরী। খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই এ ফল মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সবাই খেতে চায় এ ফল। তাই দামও মিলছে চাহিদা মতো।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, বাউকুল, আপেল কুল, কাশ্মীরি কুলের চেয়ে এখন বেশি চাহিদা দেখা দিয়েছে বল সুন্দরীর। সাধারণত এ ফল অস্ট্রেলিয়ার হয়। কিন্তু বাংলাদেশেও কিছু কিছু জায়গায় এ ফলের চাষ হচ্ছে। শুধু রাঙামাটি নয়, অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বল সুন্দরীর চাষাবাদ হচ্ছে। এরই মধ্যে নার্সারিগুলোতে এ গাছের কলব করা শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত স্থানীয় চাষীদের মধ্যে বল সুন্দরীর চারা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এবার রাঙামাটিতে ২১৬ হেক্টর খাগড়াছড়িতে ৮০ হেক্টর ও বান্দরবান জেলায় ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫৪৬ মেট্রিক টন।