নোয়াখালীর সেনবাগে শুক্রবার ভোর রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম ও হত্যার চেষ্টা করেছে সাবেক স্বামী আমির হোসেন। এতে আহত ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোরে সেনবাগের উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। সাবেক স্বামীর সাথে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আমির হোসেন (৫০) পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনর সাথে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখ দেয়। তিন বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ (ছাড়াছাড়ি) হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করে। স্বামী পাশবর্তী গ্রামে ২ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করে বসবাস করে।
স্ত্রীর সাথে বিরোধের জের ধরে শুক্রবার ভোররাতের দিকে সাবেক স্বামী ঘরের পাশে মুরগীর খোপে লাঠি দিয়ে বারি দিলে আওয়াজ শুনে তার সাবেক স্ত্রী ফাতেমা ঘরের দরজা খুললে হঠাৎ আমির ঘরে ঢুকে ধারালো চেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। আহতদেরকে আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।