উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন সম্প্রতি দেশটির একটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এই সফর এমন এক সময়ে হলো, যখন রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাচ্ছে। সফরের সময় কিম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাঠানো একটি বার্তাও গ্রহণ করেন, যেখানে দুই দেশের ‘অটুট বন্ধুত্বের’ প্রশংসা করা হয়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, পুতিন তার বার্তায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরীয় সেনাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই ভূমিকা মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের স্পষ্ট প্রমাণ। বার্তাটি গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছায়।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। বিভিন্ন পশ্চিমা ও দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার হিসাব অনুযায়ী, এই যুদ্ধে অংশ নিতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় দুই হাজার সেনা নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন। উত্তর কোরিয়া স্বীকার করেছে, কুরস্ক অঞ্চলে তাদের সেনারা মাইন অপসারণের দায়িত্বে ছিলেন।
কেসিএনএ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কিম জং–উন একটি বিশাল সাবমেরিনের পাশে হাঁটছেন। তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে কিম জু আয়ে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিম বলেন, নৌবাহিনীকে দ্রুত আধুনিক করা এবং সেখানে পারমাণবিক সক্ষমতা যুক্ত করা দেশের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। তিনি আরও জানান, পানির নিচে ব্যবহারের জন্য নতুন গোপন অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চলছে (গোপন অস্ত্র বলতে এমন প্রযুক্তি বোঝানো হয়েছে, যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি)।
কিম সতর্ক করে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যদি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করে, তবে উত্তর কোরিয়া সেটিকে নিজেদের নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখবে। এই বক্তব্য অঞ্চলজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

