পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম!

0

দ্রুত গতিতে চলছে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ। এই রণতরী থেকে নিখুঁত নিশানায় করা যাবে পারমাণবিক হামলা। তবে কি বড় আকারের সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিম জং উন? উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার হাত ধরে যুদ্ধের আতঙ্ক বাড়ছে। কিমের রণতরী নির্মাণের খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্ররাও কিছুটা উদ্বিগ্ন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল টেলিভিশনে নির্মীয়মাণ যুদ্ধজাহাজের অন্তত চারটি ছবি সম্প্রচারিত হয়। ওই রণতরী পরিদর্শনে যান কিম। 

উত্তর কোরিয়ার কিম প্রশাসন নির্মীয়মাণ রণতরীগুলির ছবি কবে এবং কখন তুলেছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে ওই ছবি তোলা হয়েছে। একটি ছবিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরির বিষয়টিকে গোপন রাখতে জাল দিয়ে সেটিকে ঘিরে রাখতে দেখা গেছে।

অন্য একটি ছবিতে রণতরীর উপরের অংশের অর্ধনির্মিত কাঠামো দেখা গেছে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘এনকে প্রো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধজাহাজের ছাদের অংশ তৈরির আগেই তার ছবি তোলা হয়। 

নামপো শিপইয়ার্ডে অত্যাধুনিক ওই রণতরী তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া। 

গত বছরের ডিসেম্বরে একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর আয়োজন করে পিয়ংইয়ং। সেখানে ফের এক বার কিমের রণতরী পরিদর্শনের ছবি প্রকাশ করা হয়। 

ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়ার অষ্টম কংগ্রেসে নৌশক্তি বৃদ্ধির উপর জোর দেন দেশের সুপ্রিম লিডার কিম। সেখানেই অত্যাধুনিক এই রণতরী নির্মাণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই যুদ্ধজাহাজ উত্তর কোরিয়ার নৌশক্তির বিকাশে একটি মাইলফলক হতে চলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক জোসেফ ডেম্পসির কথায়, ‘‘নামপো শিপইয়ার্ডের কাজকর্মের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ং গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। হঠাৎ করে একে সমানে এনে গোটা দুনিয়াকে চমকে দেওয়াই কিমের উদ্দেশ্য।’’

সত্তরের দশকে কর্ভেট শ্রেণির বেশ কিছু রণতরী তৈরি করে পিয়ংইয়ং। সেগুলির সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘আমনোক’ এবং ‘তুমান’। এত দিন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া নির্মিত বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ বলতে এই দুই শ্রেণির কর্ভেটকেই বোঝাত। ৭৭ মিটার লম্বা ওই রণতরীগুলির তুলনায় এ বার অনেক বড় যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে চলেছে কিমের দেশ।

উত্তর কোরিয়ার নির্মীয়মাণ রণতরীটি ফ্রিগেট শ্রেণির। এটি প্রায় ১০০ মিটার লম্বা। যুদ্ধজাহাজটি থেকে খুব সহজেই শত্রু দেশে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে পিয়ংইয়ং। এর আগে ‘আমনোক’ শ্রেণির কর্ভেট নিয়ে বড় দাবি করেন কিম। সেখান থেকেও পরমাণু অস্ত্র বহণকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার নৌসেনা নতুন জাহাজ হাতে পেলে, তাদের শক্তি যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here