পারভেজ হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার

0

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) কুমিল্লা তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর সহযোগিতায় তিতাস থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামির মামা হারুন অর রশিদের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হৃদয় মিয়াজী তিতাস উপজেলার দূরলব্দী গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব।

গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর কাছে হস্তান্তর করে তিতাস থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, ঢাকায় পারভেজ হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর সহযোগিতায় উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রামের আসামির মামার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে পারভেজকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তারা কেউই মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন।

গত শনিবার বিকালে পাশের ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির জেরে প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পারভেজের বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে দুইপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে ৩০ থেকে ৪০ জন ঘিরে ধরে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মামাত ভাই হুমায়ুন কবীর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here