পারফেক্ট শেভিং!

0

শেভিং সাধারণ পরিচর্চা মনে হলেও অনেক পেশাজীবী পুরুষের এটা নিয়মিত করতে হয়। এ বাইরেও শেভিংয়ের বেশ কয়েকটি লাভজনক দিকও রয়েছে। যেমন- পারফেক্ট শেভিং ক্লান্ত, উষ্কখুষ্ক চেহারা নিমেষেই পাল্টে দিতে পারে। পুরুষের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায় বহুগুণে। রূপসজ্জা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে পারফেক্ট শেভিং নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হলো।

মুখ পরিষ্কার করা :

এক্সফলিয়েট করা :

শেভ করার আগে ত্বক এক্সফলিয়েট করে নিতে হবে। এতে ত্বকের লোমকূপ উন্মুক্ত হয় এবং মৃত কোষ দূর হয়। যে কোনো স্ক্রাবিং ক্রিম দিয়ে আলতো করে কয়েকবার ম্যাসাজ করে নিলেই ত্বকের মৃত কোষগুলো ওঠে আসবে। ব্যবহার করা যেতে পারে ফেস স্পঞ্জও। তবে স্কিনের ওপর খুব বেশি ঘষাঘষি না করাই শ্রেয়।

শেভিং টুলস নির্বাচন :

শেভিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক টুলস নির্বাচন পুরো প্রক্রিয়াকে ঝক্কিহীন করবে। নির্দিষ্ট ফেস শেপের জন্য বিশেষ কোনো রেজর থাকলে সেটা বেছে নেওয়া ভালো। বাজারে সেফটি রেজর ও স্ট্রেইট কাট রেজর দুটোই মেলে। জেন্টস পার্লারগুলোতেও এর ব্যবহার বেশি হয়। তবে যারা নতুন তারা সেফটি রেজর বেছে নিন।

পরবর্তী করণীয় :

শেভ করার আগে শেভিং ক্রিম বা ফোম ব্যবহার করা উচিত। এটা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং ত্বকের জ্বালাভাব কমায়। শেভ করার সময় দাড়ি যেদিকে গজাচ্ছে সেদিকে রেজর টানুন। এতে মসৃণ শেভ পাওয়া সম্ভব। শেভিংয়ের সময় কখন চাপ প্রয়োগ করতে হবে তা বোঝার পাশাপাশি শেভ করার সময় রেজর ৪৫ ডিগ্রি কোণে ধরতে হবে তা শেখাটাও জরুরি। শেভিংয়ের পরে মুখ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। চিটচিটেভাব থাকলে মৃদু পরিষ্কারক দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর হালকা ময়েশ্চারাইজার বা ‘আফটার শেভ’ লোশন লাগান যেন ত্বক আর্দ্র থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন লোশন যেন সুগন্ধি ও অ্যালকোহলমুক্ত হয়।

লেখা : সাদিয়া সারা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here