পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মায় জেগে ওঠা চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫ জনসহ আহত হয়েছে ১০ জন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা ডিগ্রির চরে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার চরকুরুলিয়া গ্রামের আকাত আলীর ছেলে পিনুু (২৫), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৬), আতিয়ারের ছেলে আসিফ (২০), চরগড়গড়ি গ্রামের হাবিবুল ইসলামের ছেলে সোয়াইল (২৪) ও আলম (২৭) ছাড়াও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের অধিকাংশই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার জানান, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরগরগড়ি গ্রামের বাসিন্দা রিকাত আলী শেখ ও তার ছেলে, ভাই ভাতিজা এবং এলাকাবাসী নিয়ে সরকার থেকে লিজ নেওয়া চরের জমি দেখতে যায় সকালে। এ সময় চরে যাওয়ার সাথে সাথেই পাশ^বর্তী কুষ্টিয়া জেলার মকুল মেম্বর, তরিকুল মেম্বর ও শফি মিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
রিকাত আলী শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মেম্বর, তরিকুল মেম্বর চরের জমি অবৈধভাবে চাষাবাদ করে আসছিল, আমরা লীজ নেওয়ার পরেও জমিতে যেতে পারতাম না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে চরের মধ্যে পালিয়ে আছে। তারা চরাঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এই ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। মুকুল বাহিনীর লোকজন আমাদের কুমিল্লা-হ ১১-৪৪২৫ নং রেজিস্ট্রেশনের একটি হিরো মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অপর পক্ষের মুকুল বাহিনীর কারোর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, এছাড়াও জেলা পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছি। এখন চরের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।