পানগুছি নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

0
পানগুছি নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোরেলগঞ্জের বিশাল নদীতে এখনো নির্মাণ করা হয়নি কোনো সেতু। মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের অংশের খরস্রোতা এই নদীতে একটি মাত্র সেতুর অভাবে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। প্রতিদিন চরম দুর্ভোগে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলার ৫ লাখ মানুষকে ইঞ্জিনচালিত ছোট খেয়া ট্রলারে করে পানগুছি নদী পারাপার করতে হচ্ছে। 

এই অবস্থায় নদী পারাপার করতে গিয়ে গত ১২ বছরে মৃত্যু হয়েছে ৩০ যাত্রীর।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যেই জনগুরুত্বপূর্ণ পানগুছি সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পানগুছি সেতুর দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না।

পানগুছি নদীর খেয়া ট্রলার পারাপার করা যাত্রী ইব্রাহীম হোসেন, শংকর চন্দ্র সাহা, ইলিয়াস শিকদার ও বিলকিস আক্তার জানান, সুন্দরবনের শরণখোলা দেখতে আসা পর্যটকসহ মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলার ৫ লাখ মানুষকে অফিস-আদালত, চাকরি, স্কুল-কলেজে যেতে নিত্যদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানগুছি নদীর খেয়া পারাপার করতে হয়। প্রতিটি খেয়া ট্রলারে মাত্র ৩০ জন করে যাত্রী পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের অংশের খরস্রোতা এই বিশাল নদীতে প্রতিনিয়ত কার্গো জাহাজ চলাচল করার মধ্যেই প্রতিটি খেয়া ট্রলারে শতাধিক যাত্রী পারাপার করে। খেয়া ট্রলারমালিকদের উদাসীনতায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এভাবে পানগুছি নদী পারাপার করতে গিয়ে গত ১২ বছরে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ সকালে পানগুছি নদীতে শতাধিক যাত্রীবোঝাই একটি খেয়া ট্রলার ডুবে ৫ শিশু, ৯ নারী ও ৫ পুরুষসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে খেয়া ট্রলার চলাচল করলেও দেখার কেউ নেই।

তারা আরও বলেন, বাধ্য হয়েই আমাদের ইঞ্জিনচালিত ছোট খেয়া ট্রলারে করে পানগুছি নদী পারাপার করতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত পানগুছি নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ পানগুছি সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ২০২১ একনেক সভায় পাস হয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন অর্থ বরাদ্দের ছাড়পত্র পেলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানগুছি সেতুর দরপত্র আহ্বান সম্ভব বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here