গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠিত হচ্ছে পাকিস্তানে। পাকিস্তান মুসলিম লিগকে (নওয়াজ) সরকার গঠনে সমর্থন দিলেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী দিচ্ছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
দলের কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
জারদারি প্রেসিডেন্ট হলে দেশে ঐক্য ফিরিয়ে আনবেন এবং পাকিস্তানের চলমান সঙ্কটগুলো নিরসন করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিলাওয়াল।
পাকিস্তানে ‘বিদ্বেষের আগুন’ নিভিয়ে দিতে এবং দেশের ঐক্য রক্ষায় জারদারির সম্ভাব্য ভূমিকার উপর জোর দিয়ে বিলাওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য আমার কোনও জেদ ছিল না। আমি আপনাদের জন্য, আমার জনগণের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।”
এসময় বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড মাত্রায় পৌছানো এবং বিভাজনের রাজনীতির প্রসারসহ পাকিস্তানের সঙ্কটগুলো তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে রাজনীতিকদেরকে নিজেদের চেয়ে জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিলাওয়াল বলেন, সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের ব্যক্তিগত লাভের পরিবর্তে পাকিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা।
থাট্টা শহরে সমাবেশের বক্তৃতায় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “আমাকে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে তারা (পিএমএল-এন) প্রথম তিনবছরের জন্য তাদের প্রধানমন্ত্রী করবে এবং আমি পরের দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হব, কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা নিজেদের জন্য নয়, জনগণের জন্য কাজ করি।”
বিলাওয়াল বলেন, পিপিপির মূল উদ্দেশ্য মন্ত্রিত্বের পদ অর্জন নয়, বরং জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৯২ আসনে। নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন পেয়েছে ৭৫ আসন। আর বিলাওয়ালের পিপিপি ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। সূত্র: ডন নিউজ, দ্য এক্সেপ্রেস ট্রিবিউন