পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গোয়াদার শহরের কাছে একটি বাড়িতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে সাত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতরা তখন ঘুমাচ্ছিলেন।
জাতিগত প্রতিহিংসার কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
নিহত ৭ শ্রমিকের সবাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। তারা সবাই একটি চুল কাটার সেলুনে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিনিয়োগের অংশ হিসেবে উপকূলীয় শহর গোয়াদারে বেইজিং এর অর্থায়নে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে।
তবে পুলিশ মনে করছে, এই হামলার সঙ্গে তাদের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও উত্তর আফগান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় পাকিস্তানি তালেবান দ্বারা সংগঠিত আগের হামলাগুলোতে পশ্চিমা ধাঁচের দাড়ি ছাঁটা ও চুল কাটার উপর জঙ্গিদের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার না করলেও হামলাটির সঙ্গে অস্থিতিশীল বেলুচিস্তান প্রদেশে জাতিগত সংঘাতের আগের হামলাগুলোর মিল রয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি নামে একটি গোষ্ঠী মহাসড়কে চলন্ত বাস থেকে কয়েকজন শ্রমিককে অপহরণ করে হত্যার দায় স্বীকার করে।
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ প্রদেশটিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ গেরিলাদের নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহ চলছে। চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ দীর্ঘদিন ধরে বেলুচিস্তানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের প্রাপ্য অধিকার না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসছে।
সূত্র : ডন।