বাংলাদেশের বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের পিছিয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাইলট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নকে সাথে নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের আকাশসীমা পেরিয়ে বিশ্বের আকাশে ১০ বছর যাবৎ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে বর্তমানে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৮টি এটিআর ৭২-৬০০ সহ মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট আছে বিমানবহরে। চলতি বছর দুটি এয়ারবাস ৩৩০ এয়ারক্রাফটসহ আরও দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অতিরিক্ত পাইলটের চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২২ সালের শুরুতে স্টুডেন্ট পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হিউম্যান রিসোর্সের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে ২০২২ সালের মে থেকে জুলাই মাসে প্রায় ৬৫০০ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ২১ জনকে চূড়ান্তভাবে সিলেক্ট করে বাছাই কমিটি।
মঙ্গলবার প্রথম পর্বে ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত স্মির্না বিচের এপিক ফ্লাইট একাডেমীতে ১০ মাসের ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স করার জন্য দেশ ত্যাগ করবেন। ধারাবাহিকভাবে আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় পর্বে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী দেশ ত্যাগ করবেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএ সিপিএল) প্রাপ্ত হবেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
সফলভাবে ফ্লাইট ট্রেনিং শেষ করার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটের ট্রেইনি ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। যা একজন পাইলট প্রশিক্ষণার্থীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকবে ইউএস-বাংলা। সাথে এভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইতিহাস সৃষ্টি করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
স্টুডেন্ট পাইলটের মতো এভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ইউএস-বাংলায় ২৩৫০ এর অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে, যার মধ্যে ১৯০ জনের অধিক দেশী ও বিদেশি পাইলট রয়েছে।